প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
জয়পুরহাটে মাহমুদুল হাসান পিপাস (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তাদের বন্ধুরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা শহরের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এই দাবি করেন।
এরআগে তারা শহরের শহীদ ডা: আবুল কাসেম ময়দান থেকে ‘পিপাসের খুনিদের ফাঁসি চাই’ দাবিতে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বাটারমোড় হয়ে থানা এলাকা ঘুরে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ।
মাহমুদুল হাসান পিপাস জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমান।তিনি জেলা শহরের ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস করতেন। একটি ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন পিপাস। গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সদর উপজেলার সতিঘাটা নামক এলাকার একটি নির্জন কবরস্থান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
‘পিপাসের খুনিদের ফাঁসি চাই’ দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, নিহত পিপাসের বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম তপু, হাসানুল হাসান, আসিফ জিয়ন, পিপাসের বড় ভাই মেসবাহুর রহমান প্রিন্স প্রমুখ।
তারা বলেন, বাসা থেকে নিখোঁজের পর পিপাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে চিকিৎসা করাতে হবে দাবি করে ১৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এটি প্রতারণা ছিল। তার সর্বশেষ লোকেশন সদরের ধারকি এলাকায় পাওয়া গেছে। কিন্তু কোন ভাবেই তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষে আমরা তার ঝুলন্ত মরদেহ পেলাম। মরদেহ একটি নির্জন এলাকার কবরস্থানের ইউক্যালিপটাস গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আমরা এটিকে আত্নহত্যা বলে মনে করি না। এটা হত্যাকাণ্ড, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসি চাই।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রতিবেদনে যদি ‘তাকে মারধর করা হয়েছে’ এরকম কিছু পাওয়া গেলে মামলা হবে।