প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
খুলনায় পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়াদ শেষ ৫ থেকে ৬ বছর দিচ্ছে না গ্রাহকের পাওনা টাকা। সাধারণ মানুষকে ভাবনাহীন নিরাপদ জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পলিসির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভোগান্তিতে ফেলেছে । জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দ্বারে দ্বারে কাঁদছে মানুষ।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এর নিকট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ এর কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রাহকদের পাওনা টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান, ভুক্তভোগী মোঃ সেলিম, সুমাইয়া আক্তার, নাজমুল হোসেন, রবিউল ইসলাম, শাজাহান হাওলাদার, মোঃ মোস্তাকিম, রুমানা বেগম, নুরু মিয়াসহ আরো অনেকে এসব অভিযোগ করে এসব জানান।
পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লি. এর কর্মকর্তা মুনসুর বলেন, হেড অফিস থেকে চেক না পাঠালে আমরা গ্রাহকদের টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। প্রতি মাসে গ্রাহকেরা যখন টাকা পরিশোধ করেছেন এখন তো তারা টাকা চাইবেই। আমাদের কাছে তো কোনো টাকা নেই। আমরা কোথা থেকে টাকা দিব। আমাদের কাছ থেকে হেড অফিস টাকা নিয়ে নিয়েছেন। আর এখন মাঝেমধ্যেই গ্রাহকরা মারমুখী হয়ে পড়েন কেউ কেউ গায়ে হাত তোলেন আমরা অপারগ। হেড অফিসে জানালে তারা বলেন এখন টাকা নেই টাকা যখন হবে তখন দিব। হেড অফিস টাকা না দিলে আমরা কোথা থেকে টাকা দেব।
খুলনা পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লি. এর ইপিপি মো. বিল্লাল বলেন, গ্রাহকদের টাকা আমরা তো দিতেই চাই কিন্তু হেড অফিস যে কবে দিবে সেটা তো আমরা এখনও বলতে পারছি না। মাঝে হেড অফিস কিছু চেক ছেড়েছিল সেগুলো গ্রাহকদের দেয়া হয়েছে। এখন হেড অফিস কোন চেক দিচ্ছে না। হেড অফিস বলছে ফান্ড নাই। কোথা থেকে আমরা টাকা দিব। গ্রাহকরা এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সেসব সহ্য করতে হয় আমাদের। এখন তো অফিস বন্ধই রাখা হয়েছে মাঝেমধ্যে খোলা হয়।
খুলনা পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লি. এর ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লি. ১৮ সালের দিকে মালিকানা পরিবর্তন হয়ে এস আলম গ্রুপ মালিকানায় আসেন। এরপর থেকেই এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এখনতো অফিস খুলে বসাই দায় হয়ে পড়েছে। গ্রাহকেরা এসে ভাঙচুর করছে। হেড অফিস টাকা না দিলে আমরা কিছু বলতে পারছি না।
গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলছে, খুলনায় পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লি. কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পলিসির নামে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ পলিসি খুলে ভোগান্তিতে পড়েছি। বোনাস তো দূরে থাক আসল টাকাই ৪ থেকে ৫ বছর হয়ে গেছে পাচ্ছি না। সর্বোচ্চ হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে ঘুরছি দ্বারে দ্বারে।
মইনুদ্দিন নামে একজন গ্রাহক বলেন, পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের গ্রাহক সেবায় কর্মকর্তাদের নেই কোনো দায়বদ্ধতা। তারা বলছে প্রধান কার্যালয় থেকে চেক না দিলে আমরা কোথা থেকে দিব। আমরা কি প্রধান কার্যালয় কে টাকা দিয়েছি আমরা তো খুলনার কার্যালয়ে টাকা দিয়েছি এখন টাকা চাইলে বলেন, প্রধান কার্যালয়ে টাকা নেই টাকা আসলে দেয়া হবে। পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্সে পলিসি খুলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ এতে বীমা প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে।