• ঢাকা বুধবার
    ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১

আটপাড়ায় নাশকতার মামলায় আ.লীগের ৩৭ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম

আটপাড়ায় নাশকতার মামলায় আ.লীগের ৩৭ নেতাকর্মী কারাগারে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রানা আঞ্জুসহ ৩৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ হাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে তারা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।

আটপাড়া আওয়ামী লীগের ৩৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আসাদুল হক।

তিনি বলেন, একটি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় সভাপতি খাইরুল ইসলামসহ আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমানের আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী খায়রুল ইসলাম দুইবারের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রানা আঞ্জু বানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

এছাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নিজাম ইয়ার খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত বিশ্বাস, সুখারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন খোকন তালুকদারসহ ৩৭ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর মামলার বাদী বিএনপি নেতা সৈয়দ মোস্তফা সাহেদ কামালের আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক মোড়ের দোকান ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ করেন।

বাদীর মনোহরি দোকান হতে ৪ লাখ টাকার মালামাল এবং নগদ ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় আসামিরা। সেই সময় বাদী ও তার ভাইয়ের দোকানঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় আসামিরা।

গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ১৯ অক্টোবর বিএনপি নেতা সৈয়দ মোস্তফা সাহেদ কামাল বাদী হয়ে আটপাড়া থানায় ৫১ জনের নামসহ ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ করেন।

ওই মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে গত ২১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় কয়েকজন আসামি উচ্চ আদালতের জামিনে এবং অধিকাংশ আসামি পলাতক ছিলেন।

পরে সোমবার নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আদালত জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আর্কাইভ