• ঢাকা সোমবার
    ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে রঙিন ফুলকপি দাবি কৃষি বিভাগের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ১০:১৪ পিএম

ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে রঙিন ফুলকপি দাবি কৃষি বিভাগের

পাবনা প্রতিনিধি

ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে রঙিন ফুলকপি দাবি কৃষি বিভাগের।  পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে  রঙিন ফুলকপি চাষ করছে কৃষক আসলাম আলী। বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপিতে এখন পাবনা শহরের সবজির দোকান ছেয়ে গেছে।  খুচরা বাজারে আসলাম আলীর এই রঙিন ফলকপি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০টাকার মধ্যে।

আসলাম আলী বলেন, গতবছরে আমি প্রথমে রঙিল জাতের ফুলকপি চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছে এই বছরেও দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজারের বেশি ফুলকপির গাছ রোপণ করেছিলাম আমি। সবগুলোই ভালোভাবেই বড় হয়েছে। এখন আমি প্রতিদিন জমি থেকে কেটে সরাসরি বাজারের নিয়ে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামে ফুলকপি বিক্রি করি। আমি পাইকারি ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সেগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ভালোই সাড়া পেয়েছি।’

আসলাম আলীর  ফুলকপি চাষ করে লাভবান হওয়ায় রঙিল ফুলকপি চাষ করার দিকে ঝুকছে। নিছে নানা রকম পরামর্শ। তার জমিতে কৃষি কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেকই।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, রঙিল ফুলকপিতে প্রচুর পরিমান পুষ্টিগুণ ও ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। খেতেও খুব সুস্বাদু বাজারেও কৃষক দাম ভালো পাচ্ছে। আমরা কৃষকদের নতুন এই জাত চাষের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি এবং সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করছি।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘এগুলো জাপানি জাতের ফুল কপি। আমাদের দেশে মাত্র তিন বছর আগে আবাদ শুরু হয়। জেলায় এবছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে এক মধ্যে ১৪শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। এই বছর এই জেলায় ১১বিঘা জমিতে রঙিন ফুলকপি আবাদ করা হয়েছে। রঙিন ফুলকপি চাষ করে কৃষক অনেক লাভবান হচ্ছে। রঙিল ফুলকপি চাষ করার অগ্রহী চাষীদের কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

আর্কাইভ