প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ১০:০১ পিএম
ইসলামীক ফাউন্ডেশন আশাশুনির দায়িত্বে থাকা তৎকালীন মডেল কেয়ার টেকার মো. মহিউদ্দীনের দুর্নীতির প্রতিকার প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। দুর্নীতি তদন্ত ও নিরাপরাধ আজিজুর রহমানের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে এ আবেদন করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, আশাশুনি উপজেলার আদালতপুর গ্রামের আজিজুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিত ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। মডেল কেয়ার টেকার আওয়ামী ওলামালীগের সহ সভাপতি থাকায় দলের দাপট দেখিয়ে নানা অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে চলতেন।
তার দুর্নীতির শিকার হয়ে তৎকালীন শিক্ষক মাওঃ কামরুল ইসলাম চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। তখন তিনি (মহিউদ্দীন) চাকুরি ছেড়ে চলে যাওয়া শিক্ষক কামরুল ইসলামকে হাজির দেখিয়ে বেতন সীটে জালিয়াতি করে অভিযোগের বাদী আজিজুর রহমানের বেতন সীটে যোগ করে দেয়। যা বাদীর জানা ছিলনা। বেতন উত্তোলনের সময় মহিউদ্দীন তাকে (আজিজুর) বলেন, তোমার একাউন্টে টাকা বেশী আসছে, টাকা তুলে আমাকে দাও। তখন বাদী জিজ্ঞেস করেন কিভাবে টাকা বেশী আসলো? মহিউদ্দীন জবাবে বলেন, এতকিছু জানার দরকার নেই, যা বলছি তাই কর। বাধ্য হয়ে টাকা তুলে তাকে দিয়ে দেয় বাদী। ২/৩ মাস পরে জেলা অফিস বিষয়টি জানতে পেরে বাদীকে চাপ সৃষ্টি করলে মহিউদ্দীন জানতে পেরে বাদীর হাত-পা জড়িয়ে ধরে মাপ চেয়ে বাঁচতে চেষ্টা করেন। বাদী রাজী না হওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতা ও গুন্ডাপান্ডা দিয়ে হত্যার হুমকী দিয়ে দায় স্বীকারে বাধ্য করা হয়। জেলা অফিস সঠিক তদন্ত না করে তাকে চাকুরী থেকে বহিস্কার করে।
বাদী আজিজুর রহমান জানান, মহিউদ্দীনের দুর্নীতির কারনে আমার চাকুরী গেল, জীবন রক্ষা ও ক্ষমতার কাছে নতিস্বীকার করে আমাকে চৃপ থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। অথচ প্রকৃত অপরাধী এখনো বহাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজে দুর্নীতি করে টাকা কামিয়েছেন, সাথে সাথে নিজের স্ত্রী, শ্বাশুড়িসহ আপনজনদের চাকুরী দিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে এখনো নিরুত্তাপ দায়িত্ব পালন করছেন। তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার পূর্বক তাকে স্বপদর বহালের জন্য তিনি জোর দাবী জানিছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মহিউদ্দীন জানান, গত ৫/৬ বছর তার সাথে আমার কোন সাক্ষাৎ হয়নি। অন্যের একাউন্টের টাকা আমি নেব কিভাবে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা।