প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য একটি সেতু জনগনের অনুদান স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মান কাজ শুরু করেছে এলাকাবাসী। পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে নিজ উদ্যোগে সেতু নির্মাণের কাজ শুক্রবার বিকাল থেকে শুরু করেছে গ্রামবাসী।
জেলার জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড এবং কৈমারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উপর দিয়ে বহমান বুড়ি তিস্তা নদীর আজিজার চেয়ারম্যান এর ঘাট নামক স্থানে এ সেতুটি নির্মান করা হচ্ছে। সেতুটি ৮ ফিট প্রস্থ এবং ৩৫০ ফিট লম্বা। সেতুর নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা যা সম্পূর্ণ এলাকাবাসীর দেয়া অনুদান। এতে ওই গ্রামগুলোর ১০ হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াতের কষ্ট দূর হবে।
জানা যায়, জলঢাকা শৌলমারী ইউনিয়নের এবং কৈমারী ইউনিয়নের ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ বর্ষাকালে কলার ভেলা ও নৌকায় যাতায়াত করলেও শুস্ক মৌসুমে বুড়ি তিস্তা নদীর ওই এলাকায় কোন সেতু না থাকায় চরম অসুবিধায় পড়ে এলাকাবাসী। বিশেষ করে স্কুল কলেজ, হাট, বাজার, হাসপাতালে যেতে খুব অসুবিধা হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়েও সেতুটি নির্মান করতে পারে নি। জুলাই বিপ্লবের পরে এলাকাবাসী, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আংশিক অর্থায়নে গ্রামের লোকজনকে সাথে নিয়ে একটা সেতু নির্মাণের চেষ্টা শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, চর এলাকার প্রতিটি পরিবার তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ২ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্বেচ্ছায় দান করছেন। সেতু নির্মানের উদ্ধোধন উপলক্ষ্যে একটি সমাবেশের আয়োজন করে তারা।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির ইমরুল মুজাক্কিন জনগনের এ কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকল্প নেয়ার চেষ্টা করা হবে। বর্তমানে সকল অর্থই জনগনের দেয়া বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির ইমরুল মুজাক্কিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, রংপুর মহানগর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী, উপজেলা জামায়াত আমীর মোখলেছুর রহমান, কৈমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কহিনুজ্জামান লিটন, ছাত্র সমন্বয়ক নাহিদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মোহায়মিনুল সানা প্রমুখ।