প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
ফরিদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিরান নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ বলছে নিহত মিরানের নামে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজী সহ নানা অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত মিরান খান ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের উত্তর সাদীপুর গ্রামের জালাল খানের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরবেষ্টিত গদাধরডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে যান মিরান ও তার সহযোগীরা। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে সকলে পালিয়ে যেতে পারলেও মিরানকে ধরে ফেলে তারা। পরে মিরানের চোখ উপরে ও হাত পায়ের রগ কেটে ফেলা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) নিহতের ভাই ও স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের লোকজনের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে গুচ্ছগ্রামে ডেকে নিয়ে মিরানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘরের মধ্যে কিছু মালপত্র ভাঙচুর করে ডাকাতির নাটক সাজায় বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। নিহত মিরান বালু, মাছ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিল।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা আবির হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার আগের সে মারা যায়। তার চোখে ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তর রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো: আসাদউজ্জামান জানান, মিরান ওই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছিল। রাতে গুচ্ছগ্রামে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করতে গেলে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। মিরানের নামে কোতয়ালী থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।