প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
পাবনার কৃতি সন্তান কথা সাহিত্যিক ও সাবেক সচিব ফয়জুল ইসলাম সুমন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ফয়জুল ইসলাম সুমন মা, স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ বোন এবং ১ ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি পাবনার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভাষা সৈনিক প্রয়াত অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম শোভনের বড় ভাই।
সুমনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লেখকের বোন অধ্যাপক ডা. ফারহানা নীলা। তিনি জানান, সুমন ক্যান্সারের সার্জারির পর আইসিইউতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে আজিমপুর গোরস্থানে বাবার কবরে দাফন করা হবে।
ফয়জুল ইসলাম সুমন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সম্প্রতি অবসরপূর্ব (পিআরএল) ছুটিতে যান।
উল্লেখ্য, কথা সাহিত্যিক সুমনের জন্ম ১৯৬৩ সালের ২৪ নভেম্বর, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন পাবনা জিলা স্কুল ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। এছাড়া উচ্চতর পর্যায়ে পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, উইলিয়ামস কলেজ ও সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তিনি দীর্ঘদিন বেসরকারি, সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ছিলেন তিনি। তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘নক্ষত্রের ঘোড়া’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় আলোচিত গল্পগ্রন্থ ‘খোয়াজ খিজিরের সিন্দুক’, যা প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪২২ হিসেবে মনোনীত হয়।
এছাড়া তাঁর গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ঘুমতৃঞ্চা, নীলক্ষেত কেন যাই, জমিন ও আয়না। একটিমাত্র উপন্যাস লিখেছেন তিনি যার নাম বয়েজ স্কুল ব্যান্ড। তাঁর গল্পসংগ্রহ ১ ও ২ প্রকাশ করেছে চৈতন্য। মরহুম সুমনের ভাই রেল সচিব শোভন এবং বোন নীলাও বিশিষ্ট কবি।
ফয়জুল ইসলাম সুমনের মৃত্যুতে পাবনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, বর্তমান সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার এবং সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখিনূর ইসলাম রেমন।