• ঢাকা বুধবার
    ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে হাইকোটের রায়ে ১৯ বছর পর ২০ একর জমি ফিরে পেতে যাচ্ছে বিধবা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম

পঞ্চগড়ে হাইকোটের রায়ে ১৯ বছর পর ২০ একর জমি ফিরে পেতে যাচ্ছে বিধবা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড় জেলা সদরের চাকলাহাট ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী মৌজায় আলতাফুন বেগম দীর্ঘ ১৯ বছর পর হাইকোর্টের রায়ে নিজের ২০ একর জমি ফিরে পেতে যাচ্ছে এক বিধবা নারী। 

জানা গেছে, আলতাফুন বেগম ওই বিধবা গত ১৯৭২ সালে ৪ টি দলিল মুলে তার স্বামীর নিকট থেকে মহরানা সুত্রে ২০ একর জমি পায়। স্বামীর মৃত্যু ২০০৫ সালে ১৬ ই ডিসেম্বর হলে, মাত্র ৭ দিন পর তার সতীনের সন্তান রাজিউল ইসলাম প্রধান জমি জাল দলিল এবং জাল খতিয়ান  তৈরি করে দখল করে নেয়। এর পর উপায় না পেয়ে পঞ্চগড় জেলা আদালতে ২০০৭ সালে জমি দখল উদ্ধার চেয়ে একটি মামলা আনায়ন করেন। মামলায় বিবাদী ধুরন্ধর ও চক্রান্তকারী রাজিউল ইসলাম প্রধান একটি জাল দলিল উপস্থাপন করে জমি নিজের বলে দাবি করে। বিজ্ঞ আদালত উক্ত জাল দলিল সনাক্ত করে বাদি আলতাফুন কে তার জমি ফিরিয়ে দেওয়ার রায় প্রদান করে। অথচ বিবাদী রাজিউল ইসলাম প্রধান তার চক্রান্ত বহমান রাখতে জমির দখল না ছেড়ে ঢাকা হাইকোর্ট আপিল করে। ধারা বাহিকতায় ২০১৭ সাল হতে হাইর্কোটের আপিল বিভাগে মামলা চলমান থাকে। হাইকোর্ট এর বিজ্ঞ বিচারক গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মো: যাবিদ হোসেন যৌথ ভাবে গত ২০ জানুয়ারি ২০২৫ এক রায় ঘোষনা করেন। রায়ে বলেন,বাদি কে জমি যথাযথ ফেরত প্রদান ও বিবাদী রাজিউল ইসলাম প্রধান এর বিরুদ্ধে পঞ্চগড় জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে জাল দলিল সৃষ্টি করায় বিচার ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে।

উক্ত মামলা ও জাল দলিল সৃষ্টি কারী রাজিউল ইসলাম প্রধান এর সাথে মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। মামলার বাদি আলতাফুন বেগম এর সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান দেশে এখনো আইনের শ্বাসন রয়েছে, আমি আমার সঠিক অধিকার পাব নিশ্চিত ছিলাম বলেই দীর্ঘ ১৯ বছর যুদ্ধ করেছি। তবে তিনি জানান যে দীর্ঘ ১৯ বছরে আমি মামলা খরচসহ প্রায় ২ কোটি টাকা বঞ্চিত হয়েছি। স্বরজমিনে তদন্তে জানা যায় উক্ত রাজিউল ইসলাম এক মহা ধুরন্ধর ও চক্রান্তকারী ব্যক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, এই ২০ একর জমির বাইরেও প্রায় ৪৫ বিঘা সরকারি খাস খতিয়ানের জমি সে ও তার প্রভাবশালী ভাই দীর্ঘ ৫০ বছর জবর দখল রেখে ইনকাম করে আসছে। তারা এলাকায় ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। সুত্রে পাওয়া তথ্যে সংবাদ। স্থানীয় তহসিল অফিসে তহসীলদার কে প্রতি বছর মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে তারা দীর্ঘ ৫০ বছর বিষটি রাষ্ট্র ও প্রশাসনের কাছে গোপন রেখেছে। আমাদের প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য মোতাবেক উক্ত ৪৫ বিঘা জমির মৌজা বগুলাডাংগী খতিয়ান ৪৬৮ ও মৌজা চাকলাহাট খতিয়ান ২৭০ ইউনিয়ন চাকলাহাট পঞ্চগড় জেলা সদর উপজেলা।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শেষ জানা যায় উক্ত রাজিউল ইতি মধ্যে, এলাকার কিছু সহজ সরল মানুষের কাছে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে, নামমাত্র ষ্টাফে সহি দিয়ে নগদ অর্ত হাতিয়ে অনেক জমি অবৈধ ভাবে বিক্রি করছে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। দেশ স্বাধীন এর ৫৩ বছর হয়ে আবারো দ্বিতীয় দফায় ২৪ এর গন অভুথ্যানে স্বাধীন হলেও, রাজিউল ইসলাম প্রধান এর মত প্রচন্ড ভুমি দস্যুরা সরকার ও জনগনের ক্ষতি করতেই থাকবে। এলাকাবাসী রাষ্ট্র ও জন কল্যাণে এদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি তুলেছে ।


 

আর্কাইভ