প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ১০:০৫ এএম
ঘনকুয়াশায় ঢেকে পড়েছে জনপদ। ফলে নীলফামারীর সৈয়দপুরের জনপদে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ১০ হাত পর্যন্ত দেখা যায়নি। লোকজন শীত ও কুয়াশার কারণে কাজে খুব একটা বের হচ্ছেন না। সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীত থেকে বাঁচতে অনেকে আগুনের কুন্ডলি পাকিয়ে শীত নিবারণ করছেন।
ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষ। বিশেষ করে নদী অববাহিকা এলাকার লোকজন কাহিল হয়ে পড়েছেন। কয়েকদিন আবহাওয়া ভালো থাকার পর হঠাৎ শীত ও কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এখন লন্ডা বাজার বা পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে।
সেই সাথে চায়ের আড্ডা ও খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে লোকজনকে। সকালে স্কুলগামী কোমলমতি শিশুরা বড় বেকায়দায় পড়েন কুয়াশার কারণে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) মাত্র ২০০ মিটার। তিনি বলেন,ফ্লাইট চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন। শীতের মৌসুমে সকালের দুটি ফ্লাইট বেলা ১১টায় শিডিউল করা হয়েছে। দুপুরের পর মুলত ফ্লাইটগুলো উঠানামা করতে পারছে।
বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার এস্ট্রা ও নভো এয়ারের উড়োজাহাজ দুটি শীতকালীন সূচি (শিডিউল) অনুযায়ী সকাল ৮ টার পরিবর্তে ১১ টায় চলাচল করে। কিন্তু আজ কুয়াশার কারণে ওই সময়েও তা সৈয়দপুরে অবতরণ করতে পারবেনা বলে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার সূত্রে জানা যায়।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক একেএম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া জানান, আশা করছি দুপুরের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৪ টি বিমান সংস্থার ১৬ টি ফ্লাইট অবতরণ করে। যা ঢাকা সৈয়দপুর রুটে চলাচল করে। এছাড়াও সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট সরাসরি সৈয়দপুর কক্সবাজার রুটেও ছেড়ে যায়।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ১০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
