প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
মুন্সীগঞ্জের একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েল ৭ দিন পর সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ জনকে। জব্দ করা হয় ফার্নেস অয়েল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত বাল্কহেডটি। উদ্ধার হওয়া ফার্নেস অয়েলের মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।
শুক্রবার বিকেলে চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর চরসলিমাবাদ এলাকার ভূতের মোড় নৌঘাটে অভিযান চালিয়ে এ ফার্নেস অয়েল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন।
গত ১০ জানুয়ারি ভোরে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ৬ কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বরগুনার সড়ক গাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন শেখ (২৩), খাগবুনিয়া গ্রামের চাঁন খানের ছেলে রিয়াজ খান (২২), লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. ফেরদৌস (২২), নারায়ণগঞ্জের চর ধলেশ্বরী গ্রামের আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ইসলাম ব্যাপারী (৩৯) ও দেলোয়ারের ছেলে আমজাদ হোসেন তপু (২৬)।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ওই অভিযান চলে।
চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরিফ হোসেন জানান, ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামের তেলবাহী জাহাজের ৬ কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল লুট করে বালুবাহী বাল্কহেডে ভর্তি করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এ ঘটনায় জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিশার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে ১১ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। নৌ-পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। অভিযানে ২৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ভর্তি একটি বাল্কহেড জব্দ এবং ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ফার্নেস অয়েলের মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। বাল্কহেডটি দুই দিন আগে থেকে চৌহালীর ভূতের মোড় নৌঘাটে অবস্থান করছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার সোহেল রানা জানান, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফার্নেস অয়েলবোঝাই জাহাজটি টুঙ্গীর কড্ডা এলাকার সামিট পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। পথে জাহাজটি ডাকাতদের কবলে পড়ে। ঘটনার পর থেকে নদীতে নৌ-পুলিশের অভিযান চলছিল। অবশেষে ৭ দিন পর যমুনা নদীর চৌহালী এলাকা থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলসহ একটি বাল্কহেড জব্দ ও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সবাইকে নৌ-পুলিশের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।