প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১, ০৭:৪৪ পিএম
চট্টগ্রামে সিআরবি এলাকায় শতবর্ষী গাছ কেটে হাসপাতাল
নির্মাণ বন্ধ করতে লিগ্যাল
নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নগরীর ‘ফুসফুস’ হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষের হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে অন্য কোনো
উপযুক্ত জায়গায় নির্মাণ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার
(১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম
এ নোটিশ পাঠান।
মন্ত্রিপরিষদ
সচিব, রেলওয়ে সচিব, রেলওয়ের পরিচালক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো
হয়েছে।
আগামী
৭ দিনের মধ্যে সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে উচ্চ
আদালতে রিট করা হবে
বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশ
পাঠানো আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম
বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের চুন-সুরকির সিআরবি
ভবনকে ঘিরে শতবর্ষী গাছগাছালি,
পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা, ছোট-বড় পাহাড়-টিলা রয়েছে। সেখানে
নজরকাড়া বাংলোগুলো ঘিরে মন জুড়ানো
এক প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। নগরবাসী স্থানটিকে চট্টগ্রামের ফুসফুস বলে থাকেন। কিন্তু
এখানে বড়সড় একটি হাসপাতাল
নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করে সেই
ফুসফুস ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।’
জানা
যায়, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে সিআরবিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল
ও ১০০ আসনের মেডিকেল
কলেজ নির্মাণের সব আয়োজন প্রায়
চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করেছে রেলওয়ে। ২০২০ সালের ১৮
মার্চ রেলের সঙ্গে চুক্তি করার পর এখন
হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইউনাইটেড
কর্তৃপক্ষ।
স্বর্গসম
এ জায়গাটিতে হাসপাতাল হলে এখান থেকে
বিতাড়িত হবে প্রকৃতির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র
প্রাণ, কাটা পড়বে গাছগাছালি,
তৈরি হবে মেডিকেল বর্জ্য,
গড়ে উঠবে দোকানপাট।
পরিবেশবিদরা
বলছেন, ‘চট্টগ্রামে ঢাকার মতো রমনা পার্ক
নেই, বোটানিক্যাল গার্ডেন নেই। গাছগাছালিতে আচ্ছাদিত
নয়নাভিরাম এই উন্মুক্ত পরিসরটিই
যদি না থাকে, মানুষ
যাবে কোথায়! চট্টগ্রামে অনেক খালি জায়গা
আছে, যেখানে হাসপাতাল করা যায়। যেকোনো
মূল্যে সিআরবির প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে।’
সম্রাট/এম. জামান