প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
অনিশ্চয়তার মাঝেও পাবনায় আজ নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন বই। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা থেকে স্কুলে স্কুলে পাঠানো হয়েছে নতুন বই। শিক্ষকরা ইতিমধ্যে বই বুঝে নিয়ছেন তাদের স্কুলের জন্য।
শিক্ষকরা জানান, শুধুমাত্র প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর বই দেওয়া হচ্ছে। চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। যা দেওয়া হচ্ছে তার মাঝেও অনেক শিক্ষার্থী নতুন বই থেকে বঞ্চিত হবে। নতুন বইয়ের আনন্দের পাশাপাশি আছে হতাশাও। তকে সব শ্রেণীর সব বই পাওয়া যাবে সেটিও অনিশ্চিত।
সোমবার বিকেলে কথা হয় সুজানগর উপজেলার আনিসুর রহমান আইডিয়াল স্কুলের সহকারি শিক্ষক শাহনাজ খাতুনের সাথে। তিনি বলেন, নতুন বই পেয়ে ভাল লাগছে। শিশুরা নতুন বই পাবে। তবে সব শিক্ষার্থীরা বই পাবে না। কারণ সবগুলো বই পাওয়াও যায়নি। তাই আনন্দের সাথে হতাশাও আছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বই কবে পাবো তাও জানি না।
ব্রিলিয়ান্ট কেজি হাইস্কুলের শিক্ষক সুলতান মাহমুদ খান বলেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ৪০ শতাংশ বই পেয়েছি আমরা। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বই পাইনি। যে বই পেয়েছি তাতেও সব শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারবো না। কিছু পাবে, কিছু পাবেনা। কারণ আমাদের যে চাহিদা ছিল সে তুলনায় অর্ধেকেরও কম বই পেয়েছি। সবার হাতে বই তুলে দিতে পারলে ভাল লাগতো।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা জানান, `জেলার ১১৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বইয়ের চাহিদা ছিল ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৩টি। প্রথম অবস্থায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী মিলিয়ে পাওয়া গেছে ৮ লাখ ৬৪ হাজার ১০৮টি। বই প্রাপ্তির হার ৪৪ শতাংশ। সারা বাংলােদেশে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর কোনো বই দেওয়া হয়নি। কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সেটি এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না।`