প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হচ্ছে তেঁতুলিয়া। আর গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর হচ্ছে চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। আমরা যখন খোঁজ নিয়ে দেখি ওই স্থল বন্দরের ইজারা দিয়ে যত কর্মকর্তা কর্মচারী সেগুলো সব খুলনা বিভাগ থেকে আসা।
স্থলবন্দর হওয়ার সময় যত লোকের এখানে কর্মসংস্থান হওয়ার কথা ছিল, সেটা না হয় কিছু মানুষ সিন্ডিকেট করে সকল মানুষকে জিম্মি করেছে। তিনি বলেন আমরা স্পষ্ট করে, বাংলাদেশের ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে, স্পেশালী পঞ্চগড়ের তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে একটা ম্যাসেজ দিতে চাই ধিরে ধিরে আমাদের নজর ধীরে ধীরে প্রত্যেকটি সিস্টেমের দিকে যাবে। যেখানেই আমরা অন্যায় দেখবো, সিন্ডিকেট দেখবো, চাঁদাবাজি দেখবো আমরা তা উপড়ে ফেলবো।
একটা এতো বড় অভ্যুত্থানের পরে, এতো রক্তের পরে, জীবনের পরে যদি টাকার খেলা সুপারীশের খেলা চলতে থাকে তাহলে দুইটা জিনিষ হতে পারে হয় আমরা এটা হতে দেবোনা, না হয় এগুলোকে বাঁধা দেয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনে আরও রক্ত দেবো।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন আমরা ঐক্যবদ্ধ যদি থাকি তাহলে স্থলবন্দর বলি, নিয়োগ বাণিজ্য বলি কোনটাই আমরা হতে দেবো না। জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন, বিএনপি নেত্রী রাজিয়া সুলতানা, ২ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন প্রমুখ ।