প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:০৯ এএম
পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বেড়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে করাচির সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাণিজ্যিক এই সম্পর্ক থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পথ খুঁজতে হবে বাংলাদেশকে। আমদানির বাইরে রপ্তানি নিয়েও ভাবতে হবে ভবিষ্যতে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের পণ্য। গত বছর একই সময়ে এসেছিল ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের। এবার আমদানি হয়েছে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, পেঁয়াজ, আলু, পরিশোধিত চিনি, ডলোমাইট, কাচশিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য।
আমদানি বাড়লেও ছোট বাজার ও রপ্তানিতে যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় পাকিস্তানে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি শূন্যের কোটায়। সম্প্রতি দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম রুটে চালু হয়েছে সরাসরি শিপিং সার্ভিস। একে ইতিবাচকই মনে করছেন আমদানিকারকরা।
আমদানিকারক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চীন থেকে যখন সরাসরি পন্য আসে, তখন বিভিন্ন ফল ও শিল্পের কাঁচামাল আসে। আমরা কিন্তু তখন কোনো প্রশ্ন তুলছি না। তাহলে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে কেন এসব প্রশ্ন উঠছে? হয়তো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটাকে বেশি ফোকাস করছি। তবে কাস্টম চাইলে শতভাগ পরীক্ষা করতে পারে।’
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আগেও আসতো, এখনও আসছে একটু বড় আকারে। এখন আসতেছে মূলত রোজাকে সামনে রেখে। রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোই আমদানিকারকরা নিয়ে আসছে।’
নতুন জাহাজ সার্ভিসের মাধ্যমে দুই দফায় করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে প্রায় ১ হাজার ১২৬ টি কন্টেইনার পণ্য। এই রুটে আরও নতুন শিপিং লাইন যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘এখানে যেভাবে কার্গো জেনারেট হচ্ছে, আমদানিকারকরা যদি উৎসাহী হয়, আরও কার্গো ইমপোর্ট করতে চায়- তাহলে আরও সার্ভিস বাড়বে। এখন জাহাজ নিয়মিতভাবে আসছে। প্রতি এক মাস বা চল্লিশ দিনে রোটেশন কমপ্লিট করছে।’
গত অর্থবছরে পাকিস্তান থেকে মোট ৬২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। যা দেশের মোট আমদানির এক শতাংশ।
এখন থেকে প্রতি ৩৮-৪২ দিন পর পর দুবাই থেকে করাচি হয়ে এই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পন্য নিয়ে আসার কথা রয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সাথে নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।