প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রমত্তা পদ্মা নদীর কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠের শতবর্ষ পূর্তি ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এ উপলক্ষে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ফুটবল মাঠ থেকে একটা শোভাযাত্রা বের হয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে মিলিত হয়।
পরে সেখানে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্কুলের শিক্ষক ও পাকশী বিভাগীয় রেলের উর্ধ্বতন কর্মকতারা।
পরে শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের থিম সং পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় আনন্দ আয়োজন। এ সময় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পুরনো বন্ধুদের সাথে স্মৃতিচারণ ও আড্ডায় মেতে ওঠেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুদিনের উৎসব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত চিকিৎসক কামরুল ইসলাম, উৎসবের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা রবি বক্তব্য রাখেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে অবস্থিত সবচেয়ে পুরোনো স্কুল বাংলাদেশ রেলওয়ে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ। এটি বাংলাদেশ রেলপথ কর্তৃপক্ষের পরিচালনায় সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়। ১৯২৪ সালে বাবু জগীন্দ্র চন্দ্র দাশগুপ্ত তাঁর মা চন্দ্রপ্রভা দেবীর নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষ, প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, কলকাতা কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রশান্ত কুমার চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল গফুর এবং দেশ-বিদেশের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ এখানকার ছাত্র ছিলেন।