প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪, ১০:২৫ এএম
পঞ্চগড়ে টানা ছয় দিন ধরে রাতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তবে আজ বুধবার আবারও ৯ এর নিচে নেমেছে তাপমান যন্ত্রের পারদ। আবহাওয়া অফিস বলছে, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি।
এর আগে, শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে নেমে পঞ্চগড়ে শুরু হয় চলতি শীত মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে প্রতিদিন সকালেই সূর্যের মুখ দেখা গেছে। বুধবার সকালেও ঝলমলে রোদ ছড়িয়ে পড়ে চারদিক। মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা বেড়ে রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি। প্রতিদিন দুপুরের পর হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা শুরু হয়। ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা থাকে। ধীরে ধীরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা।
এদিকে পৌষের শীতে চরম দুর্ভোগ পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। কৃষি উৎপাদনের পড়েছে বিরূপ প্রভাব। বিবর্ণ হচ্ছে বোরো বীজ তলা, নষ্ট হচ্ছে আলুর খেত। দুর্ভোগ বেড়েছে রিকশা-ভ্যানচালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের।
জেলা শহরের জালাসী পাড়ার ভ্যানচালক নজির উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে ঠান্ডার কারণে আমাদের আয় রোজগার কমে গেছে। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হতো। এখন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া মারতে দিন শেষ। ঠান্ডায় কেউ ভ্যানে ওঠে না।’