প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে পাবনার চাটমোহরে বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজয় র্যালিটি চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে পৌর সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নেতাকর্মীরা।
চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাসাদুল ইসলাম হীরার নেতৃত্বে র্যালিতে উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
পরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাসাদুল ইসলাম হীরা সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি এমন উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট সরকার করতে দেয়নি। এই স্বাধীন দেশে নতুন করে আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করছি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের একটাই নির্দেশ এদেশে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, ভেজাল থাকবে না। তাই আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও ভেজাল মুক্ত বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি কাজ করছে, আগামীতেও করবে।
বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এমন সমালোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হীরা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে, সেখানে তো বিএনপি এখনও ক্ষমতায়ই যায়নি। তাহলে বিএনপি কি দুর্নীতি বা কি অন্যায় করলো। তাই ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি কি করলো তখন আঙুল উঠাবেন। বর্তমানে অন্তর্বতীকালীন সরকার আছে, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী অন্যায় দুর্নীতি করলে তাদের আইনের আওতায় নিতে পারে কোনো সমস্যা নাই। আমাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় নিতে পারেন। সেখানে যদি আমি হই, আমাকেও নিতে পারেন, কোনো আপত্তি থাকবে না।
যারা এতদিন দলের দু:সময়ে মাঠে ছিলেন না, তারা এখন আবার সরব হয়েছেন, এটাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর চাটমোহরের মাটিতে তাদের কোনো জায়গাই ছিল না, অবস্থান ছিল না। তারা এখন এসে কি করবে। ওই কিছু ভাসমান লোক নিয়ে নিজেদের দল ভারী করার চেষ্টা করছেন। অনেক নেতাই মনোনয়ন চাইবে, কিন্তু সবাইতো আর মনোনয়ন পাবেন না। মনোনয়ন পাবেন একজন। দলের চেয়ারপার্সন যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনিই দলের ম্যান্ডেড নিয়ে ধানের শীষের ম্যান্ডেড নিয়ে নির্বাচন করবেন। কিন্তু মনোনয়ন চাচ্ছেন দশজন। ওইসব নেতার পেছনে কিন্তু নেতা নাই। নেতাশূন্য অনেক নেতা আছে। আমার সাথে কোনো ভাসমান লোক বা আওয়ামীলীগের কেউ নাই। কেউ যদি বলতে পারেন ওই লোকটা আওয়ামীলীগের, তাহলে আমি রাজনীতি থেকে ইস্তফা তিয়ে চলে যাবো।
এ সময় পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আরশেদ, মুলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, গুনাইগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম মওলা, বিএনপি নেতা প্রভাষক শাহাদত হোসেন, ডা. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।