প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
পঞ্চগড়ের পনের বছর বয়সী এক কিশোরী গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) অবৈধপথে ভারতে প্রবেশের পর বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন। আর দেশে চলমান ইসকন ইস্যুকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে ভারতীয় মিডিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গত সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় কিশোরী প্রিয়ন্তী রায় প্রমির তার মামা বাড়িতে যান। পরে ওইদিন রাতে অবৈধ উপায়ে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে ১০ম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী। প্রমির চোখের সমস্যা থাকায় ভারতে ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। তবে ভিসা পাচ্ছিলোনা তারা। এদিকে সোমবার পরিবারকে না জানিয়ে মামা বাড়িতে যায় সে। পরে সেখান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হয় সে। প্রমির ভারতীয় এক আত্মীয় থানায় গিয়ে এদিকে প্রমির ভারতে যাওয়া নিয়ে একটি ভিডিওটি তৈরি করেছে আর বাংলা সহ ভারতীয় কয়েকটি গণ মাধ্যেম। এ নিয়ে জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হলে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ বলছে দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। একই সাথে ভারতের মিডিয়া মিথ্যা উপপ্রচার চালিয়ে গুজব ছড়িয়ে সম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর পরিচিত দূর সম্পর্কের এক আত্বীয়ের বানোয়াট বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রমির মা অনুরাধা রানী রায় ও বাবা জয়দেব চন্দ্র রায়। তবে প্রমির বাবা কিছুদিন আগে স্ট্রোক করলেও বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। ভারতে কিভাবে গেলেন প্রমি বিষয়টি জানেনা পরিবার। তবে বাংলাদেশে নিরাপদে আছেন ভাল আছেন বলে জানান তারা। নিজের সন্তানকে নিরাপদে দেশে ফেরত পেতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে আবেদন করেছেন প্রমির বাবা মা।
বর্তমানে বাংলাদেশী কিশোরী প্রমিকে ভারতের আদালতের নির্দেশে সেফহোমে নেয়া হয়েছে। কিশোরী প্রিয়ন্তী রায় প্রমি`র বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর জালাশী এলাকায়। সে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।