প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার পাশে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষন করেছে দুই যুবক। এঘটনায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আজিমনগর এলাকা থেকে দুই ধর্ষনকারীকে আটক করেছে। দুপুরে ১৪৪ ধারা জবানবন্দির জন্য তাদেরকে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন কুুলসুম বেগম বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। মামলা নম্বর -১৪ তারিখ ৭/১২/২৪ ইং।
গন ধর্ষনের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
আটককৃত ধর্ষণকারী দুই যুবকরা হচ্ছে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঘোষ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মোঃ জুয়েল রানা (৩১) ও একই এলাকার মতিউর রহমান (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ওই কলেজ ছাত্রী ডাক্তার দেখানোর জন্য ফরিদপুরে যায়। সেখানে তার পূর্ব পরিচিত শিলা নামের এক মহিলা তাকে ফুসলিয়ে ভাঙ্গা থানার পাশে গ্রীন হাসপাতালের উপরে তিনতলায় শিল্পী আফরোজীর ফ্লাটে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থানরত দুই যুবক ওই মহিলার সহায়তায় রাতভর কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। পরদিন বিষয়টি মেয়েটি তার পরিবারের কাছে জানায়। এর দুইদিন পর তার বড় দুই বোনের সহায়তায় গত ০৭/১২/২৪ তারিখ রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। ৮ তারিখে ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পুলিশের কাছে ২২ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোকসেদুর রহমান জানান, গত ০৭/১২/২৪ তারিখে ভাঙ্গা থানা এলাকায় কাকলি আক্তার নামের ১৭ বছর বয়সের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় জুয়েল ও মতিউর নামে দুই যুবককে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেছি। তারা ২জন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে । শনিবার দুপুরে তাদের দুই জনকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর বোন বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা করেছে।