প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
বিশ্বের মতো রাঙামাটিতেও খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষেরা ধর্মীয় প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে শুভ প্রাক-বড়দিন উদযাপন করেছেন। আলোকসজ্জায় দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, সেই সাথে বড়দিনের গান বাজনা সহ বেশ কিছু মনমুগ্ধকর অনুষ্ঠানের আয়োজন ও করেছেন।
শুক্রবার (১৩ডিসেম্বর) ২৪ খ্রিস্টাব্দ। তবলছড়ি মাঝের বস্তি সংলগ্ন শাহ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়াম কক্ষে রাঙ্গামাটি খ্রিস্টান আন্ত: মান্ডলীক বড়দিন উদযাপন পরিষদ কমিটির আয়োজনে এই প্রাক-বড়দিন পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ৯ ঘটিকার সময় র্যালি বের হয়ে তবলছড়ির বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে আবার শাহ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় এসে শেষ হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান কমিটির আহবায়ক রেভা` দীর্ব ধন চাকমার সভাপতিত্বেঃ- অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি খ্রিস্টান আন্ত:মান্ডলীক বড়দিন উদযাপন পরিষদ সদস্য, ও অর্থ কমিটির আহবায়ক, এবং চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক, ডা: প্রবীর খিয়াং। গেব্রিয়েল পাংখোয়া, ও সিস্টার দিপা ক্রজ।
সিস্টার কাকলী রোজারিও, এর উপস্থাপনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, অঞ্চলিক সভাপতিঃ- বিপ্লব মারমা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক, (এ কে এম মকসুদ আহমেদ)। পট্রেট সম্পাদক,রুপম চক্রবর্তী। রূপসী কাপ্তাই এর নির্বাহী সম্পাদক, কাজী মোশারফ হোসেন। সিএইচসিপি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার, বিজয় মারমা।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক, অলোক বড়ুয়া। জামাল বশির সহ ক্যাথলিক প্রধান,বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী,সহ গণমাধ্যম কর্মীগণ।
প্রারম্ভিক প্রার্থনা করেন ড.পাষ্টর স্টিফেন জে, মিত্র। কেক কাটার সময় প্রার্থনা করেন রাঙ্গামাটি খ্রিস্টান আন্ত: মান্ডলীক বড়দিন উদযাপন পরিষদ আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব পাষ্টর জ্যোতিময় চাকমা।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহবায়ক এবং রাঙ্গামাটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ফেলোশিপ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি পাষ্টর জয় মনি চাকমা।
প্রভু যীশুর প্রার্থনার মধ্যদিয়ে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চপাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রায়। আর বড়দিনে সমবেত বিশেষ প্রার্থনায় পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতিসহ সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করেন সকলে। আলোচনা সভায় প্রাক বড়দিনের কেক কাটা হয় এবং বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি, আসামবস্তী, কাপ্তাই উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করা হবে।