প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
শেরপুর জেলা কারাগার দীর্ঘ ৪ মাস পর ১৩ বন্দীকে নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালত থেকে পাওয়া ১৩ বন্দীকে নিয়ে সীমিত পরিসরে কারাগার স্বচল করার মাধ্যমে কারাগার কেন্দ্রিক নানা সমস্যা-সংকটের নিরসন হয়েছে।
কারাগার স্বচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাতে নবাগত জেল সুপার মো. শফিকুল আলম জানান, দুর্বৃত্তদের হামলায় অকার্যকর হয়ে পড়ার পর গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে কারাগারের সংস্কার কাজ চলছিল। প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ওই সংস্কার কাজের ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ দুটি প্রাক্কলনের কাজ এখনো বাকি রয়েছে।
তবে শেরপুরের বন্দীদের জামালপুরে আনা-নেওয়াসহ নানা বাড়তি ঝামেলার বিষয়টি বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শেষ না হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ও সীমিত পরিসরে কারাগারটি স্বচল করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন বা পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের এ কারাগারেই রাখা হবে।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট মামলার প্রতি ধার্য তারিখে জামালপুরে থাকা বন্দীদের শেরপুর কারাগারে আনা হবে। আর এর মধ্য দিয়েই পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হবে কারাগারের কার্যক্রম।
এদিকে সীমিত পরিসরে কারাগার স্বচল করার আগে সংস্কারকৃত কারাগার পরিদর্শন করেছেন শেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান মাহমুদ। এসময় অন্যান্য বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওইদিন বিকেলেই দুর্বৃত্তরা শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা চালায়। ওইসময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করলে কারাগার থেকে পালিয়ে যায় সাজাপ্রাপ্তসহ নানা গুরুতর অভিযোগের মামলার ৫১৮ কারা বন্দী।