প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
পঞ্চগড়ে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। গত তিনদিন ধরে এখানে তাপমাত্রা না কমলেও ঘন কুয়াশা আর মৃদু বাতাসে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসতে শুরু করেছে।
শেষ বিকেল থেকে শুরু করে রাত ও সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার পাশাপাশি বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গল বার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারাদিনই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। দিনের বেলাতেও গরম কাপড় পড়ে বের হতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় পুরো পঞ্চগড় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমেছে। অসহায়ের ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাজকর্ম কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। অসচ্ছল দিনমজুর ছিন্নমূল কৃষি শ্রমিক চাশ্রমিক পাথর শ্রমিক সহ জেলার লাখ লাখ শ্রমিক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কাজকর্ম করতে না পেরে এবং গরম কাপড়ের অভাবে মানবতার জীবনযাপন করছেন। শীতে শীতজনিত রোগের সংখ্যা বেড়ে গেছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বিশেষ করে শিশু বৃদ্ধরা এই শীতে শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
এই তীব্র শিতে পঞ্চগড়ের মানুষের জবুথবু অবস্থা। তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষ। এদিকে গরম কাপড়ের দোকানগুলো তে ভিড় বেড়েছে। শীতার্ত মানুষেরা সামর্থ্য অনুযায়ী এসব দোকান থেকে গরম কাপড় কিনছেন। গ্রামীণ জনপদের অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান গত দু-তিন দিন ধরে এখানে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকার কারণে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও শীত জেঁকে বসেছে। শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে এখানে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া প্রতিবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে চিনি জানিয়েছেন।