প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করা এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্টের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির এক নেতা।
বৃহস্পতিবার ( ১২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান। এ সময় তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গরিব অসহায় মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া, কুয়াকাটায় লুটপাট, দখল ও সালিশ বাণিজ্য করেন আনোয়ার হাওলাদার। পৌরসভার ইজারার নামে ডিম,ডাব, গোস্ত,কাঁচাবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ; উন্নয়নের নামে আত্মীয়-স্বজন দিয়ে টেন্ডার বাণিজ্য করেছেন সাবেক এই মেয়র।
স্বৈরাচার সরকারের দোসর আনোয়ার গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পূর্বে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে রাজপথে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ২৪-এর আন্দোলনকে নস্যাৎ করার বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন। এমনকি ছাত্র-জনতার পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাধারণ জনগণকে মারধর,দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর করেন। যার প্রমাণ এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে। তার এই অপকর্ম ধামাচাপা দিতে এবং সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে ও বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে, দালাল ও ভূমিদস্যু আনোয়ারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়াকাটা পৌর বিএনপি ও বিএনপি নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আনোয়ার ঘুস বাণিজ্য করে কুয়াকাটার কেরানিপাড়ার রাখাইন হত্যাকারীদের বাঁচানোর জন্য পৌরসভার রেজিস্ট্রারের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে কলাপাড়া ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, সাবেক মেয়রের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আপনাদের লেখনির মাধ্যমে খুনের দোসর আনোয়ার হাওলাদারকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করছি।
কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই তাদের কাছে। এগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত প্রতিহিংসা। আমি কুয়াকাটা পৌরসভায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি কোনো দিন কুয়াকাটার মাটি ও মানুষের সঙ্গে কোনো অন্যায় করিনি।
আবেগঘন কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমার নামে অন্যায়ভাবে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সত্যি বলতে আমার অন্যায় শুধু একটাই, আমি কুয়াকাটার সর্বস্তরের মানুষের কাছে কেন এত জনপ্রিয়। আমার এই সর্বস্তরের জনপ্রিয়তাই তাদের প্রতিহিংসার একমাত্র কারণ।