প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও সনাতনী ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রাহ্মচারীর জামিন শুনানি উপলক্ষে ঢাকা থেকে আসলেন আইনজীবীর একটি দল।
বুধবার (১১ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তাকে কারাগারে প্রেরণকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে কুপিয়ে সাইফুল ইসলাম আলম নামে এক আইনজীবী হত্যার ঘটনা ঘটে। এতে তার পক্ষে না দাড়ানোর ঘোষণা দেয় চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। তবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি জানায়, তার পক্ষে বাহিরের কোন আইনজীবী অংশগ্রহণে কোন বাধা নেই।
এর আগে চিন্ময় দাশের জামিন শুনানিতে তার পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।
এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত ৩ ডিসেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন চিন্ময়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ধার্য করেন।
কিন্তু এর মধ্যে আজ (বুধবার) আসামিপক্ষে ঢাকা থেকে আসা একজন আইনজীবী জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনে আসামিপক্ষের ওকালতনামা নেই এবং ফাইলিং আইনজীবীরও লিখিত অনুমতি নেই। তাই মহানগর দায়রা জজ আদালত আবেদনটি নট মেইন্টেইনেবল বলেছেন।
আদালতে আসামি চিন্ময়ের পক্ষে জমা দেওয়া আবেদনে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত চিন্ময় দাস একজন সন্ন্যাসী। তিনি সনাতনীদের পবিত্র তীর্ঘপীঠ শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের একজন প্রধান মুখপাত্র। মামলায় চিন্ময়ের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর। তাছাড়া চিন্ময় দাস দীর্ঘমেয়াদি পাকস্থলী, কার্ডিওভাসকুলার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত। তার পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবীকে বিভিন্ন মাধ্যমে এ মামলা পরিচালনা তথা শুনানি না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই শুনানিতে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এটি সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার বহির্ভূত।
যেহেতু চিন্ময়ের পক্ষের আইনজীবী নিরাপত্তাজনিত কারণে এ মামলার জামিন শুনানির ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি, সেহেতু ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই ফৌজদারি মামলার ধার্য তারিখ অগ্রবর্তী পূর্বক শুনানি করা একান্ত আবশ্যক। না হয় অভিযুক্ত ব্যক্তি ন্যায়বিচার থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হবেন।