• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
পাবনায় কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ

কিডনী রোগে আত্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম

কিডনী রোগে আত্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ৮ম বার্ষিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনা বনগ্রামে অবস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে  কিডনি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ পাবনায় শিক্ষানবিশ তরুণ চিকিৎসক ও সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে রোগ নিরাময়ে করণীয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকেরা।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী কিডনী রোগে আত্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। দেশে বর্তমানে দুই কোটিরও বেশি মানুষ কোন না কোনভাবে কিডনী রোগে আক্রান্ত রয়েছেন । প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনী সম্পূর্নরুপে বিকল হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলেন,এই রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রথম দিকে এর কোন উপসর্গ বোঝা যায় না। যখন উপসর্গ ধরা পড়ে ততক্ষনে কিডনীর প্রায় ৭৫ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। তবে কিডনী সর্ম্পকে ভালভাবে জানলে এবং প্রতিরোধে সচেতনতা অবলম্বন করলে এ ঘাতকব্যাধী অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব বলে জানান চিকিৎসকেরা।

সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানান, কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যায় তুলনামূলক বেশি হওয়াতে অনেকেই সঠিক ভাবে চিকিৎসা করাতে ব্যার্থ হন। তাই বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন সকল শ্রেনি পেশার মানুষ যাতে সল্প খরচে উন্নত চিকিসা সেবা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য কাজ করছেন। রাজধানী ঢাকার বাহিরে পাবনাতে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে প্রতিনিয়ত সেবা প্রদান করছে সাধারন রোগীদের জন্য।

কিডনী ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন- অর- রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার সিভিল সার্জন  ডাঃ শহীদুল্লাহ দেওয়ান।

বিশেষ অতিথি কিডনি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক- টিনি ফেরদৌস রশীদ , ডাঃ আবু সাঈদ, ডাঃ সাকিব উজ জামান আরেফিন, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের এ্যাসিসট্যান্ট সেলস ম্যানেজার মোঃ রাজাউল ইসলাম এবং সিনিয়র ব্রান্ড এক্সিকিউটিভ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ ।

আর্কাইভ