প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিদ্যাধর গ্রামে তিন সহোদরের বসত ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খবিবুর রহমান মিয়া।
এর আগে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড় টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার মানুষদের মধ্যে থমথমে পরিস্থিতি ও ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১০-১২ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খবিবুর রহমানের বাড়ির গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় খবিবুর রহমানকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। তার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। এরপর মেঝ ভাই খায়ের মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। ডাকাতেরা খায়ের মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে নগদ দুই লাখ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। সবশেষে বড় ভাই মৃত্যু টুকু মিয়া ছেলে সেনা সদস্য শাহ্ আলমের ঘরে প্রবেশ করে দুই ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতের দল প্রত্যকটি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। বাড়িতে থাকা সকল পুরুষকে বেঁধে ফেলে ও নারীদের জিম্মি করে মোবাইল ফোন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে ডাকাত দল তান্ডব চালিয়ে স্থান ত্যাগ করে। তিন সহোদরের বাড়ি থেকে নগদ প্রায় সোয়া চার লাখ টাকা ও সাড়ে ছয় ভরি স্বর্ণলংকার ছিনিয়ে নেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত খবিবুর রহমান জানান, গতকাল আলফাডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা উত্তোলন করে বাসায় রাখি, এছাড়া ভাতিজার জমি বিক্রির টাকা ছিল বাড়িতে। ডাকাতের দল আমাকে হাত-পা বেঁধে বলে যে গতকাল ব্যাংক থেকে যে টাকা উত্তোন করেছেন সে টাকা দেন। রাতের অন্ধকারে তাদের কাউকে আমরা চিনতে পারেনি। তবে হাবভাবে মনে হয়েছে খুব পরিচিত লোকজন। ডাকাতেরা স্থান ত্যাগ করার পর বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা আসে। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল জানান, বিদ্যাধর গ্রামের মিয়া বাড়িতে এই প্রথম এমন ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এরা তিন ভাই গ্রামের উচ্চ শিক্ষিত ও ভদ্র পরিবার বলে একটি সুনাম রয়েছে। এ ঘটনার পর আমাদের এলাকার লোকজনের মধ্যে একটি ভীতি কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ থাকবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ডাকাতদের চিহিৃত করে মালামাল উদ্ধার করার পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, রাতে ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ডাকাতদের চিহিৃত করে মালামাল উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।