প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বিভাগের প্রভাষকদের জন্য ‘ওয়ার্কশপ অন টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইদিন কর্মচারীদের জন্য `ওয়ার্কশপ অন বেসিক কম্পিউটার ফর অফিশিয়াল কম্পিউটার সাপোর্ট` বিষয়ে তিনদিনব্যাপী একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রভাষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল। কর্মশালায় প্রধান রিসোর্স পারসনও ছিলেন তিনি।
রিসোর্স পারসন হিসেবে আরও ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল আলম এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল বলেন, মানব কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রায়োগিক গবেষণার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণের চেয়ে গবেষণায় বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। সৎভাবে দেশকে নিজের মধ্যে ধারণ করা এবং ভালোকিছুর জন্য পজিটিভ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোয়ালিটি বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নূর আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সকল বিভাগের প্রভাষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে।
এদিকে একইদিন দুপুর ২টায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল-এর উদ্যোগে কর্মচারীদের জন্য `ওয়ার্কশপ অন বেসিক কম্পিউটার ফর অফিশিয়াল কম্পিউটার সাপোর্ট` বিষয়ে তিনদিনব্যাপী একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সেন্ট্রাল কম্পিউটার ল্যাবে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল এবং রিসোর্স পারসন হিসেবে রয়েছেন পাবিপ্রবি’র ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন।
কর্মশালায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে প্রতিটি দপ্তরকে ভালোভাবে কাজ করতে হবে। জাতিকে পুনর্গঠন করার জন্য আমাদের দক্ষ মানব সম্পদ দরকার। ভোকেশনাল শিক্ষার ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে এবং আমাদের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে, সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মধ্যে ধারণ করা এবং আমাদের শেখার আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে।