প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
৩ মাস ১৯ দিন পর নতুন উপ-উপাচার্য পেল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে নতুন উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা শাখা থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর অনুমোদনক্রমে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ২০০১ এর আর্টিকেল ১২ (১) ধারা অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, তার মেয়াদকাল হবে যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর। তিনি সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করবেন। বিধি অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ও ভিসি কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর চাইলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ১৯৯৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যায় বিএসসি (অনার্স) এবং ২০০২ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (AIT), থাইল্যান্ড থেকে পাল্প ও পেপার টেকনোলজিতে আরেকটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৮ সালে তিনি জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (TUAT) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং সেখানে জেএসপিএস পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো হিসেবেও কাজ করেন।
এছাড়া কানাডার ইউনিভার্সিটি অব কুইবেক এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সাইন্স মালয়েশিয়ায় আরও দুটি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।
ড. ইসলাম গবেষণায় দক্ষ এবং বিশেষত টেকসই জীবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বায়ো-বেসড কম্পোজিটস, বায়ো-ন্যানোকম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, বায়ো-আঠা, এবং উদ্ভিদ ও সামুদ্রিক সম্পদ থেকে পাল্প ও কাগজ পণ্য উৎপাদনে কাজ করেছেন। তার গবেষণা ফলাফল নিয়ে তিনি ৯১টি পিয়ার-রিভিউড আর্টিকেল এবং ১৭টি বইয়ের অধ্যায় প্রকাশ করেছেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, সুন্দরবন এবং উদ্যোগ উন্নয়ন নিয়ে ৩টি চলমান প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া ২৫টি প্রকল্পে কাজ করেছেন, যেগুলোতে তিনি বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পণ্য উৎপাদন এবং উদ্যোগ উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার এই কাজগুলো জিআইজেড, বিশ্বব্যাংক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেল (KURC) এবং বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে।