প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে ঝালকাঠিতে বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপপাট মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম যুবায়েরকে বহিস্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যারিষ্টার এস.এম রইস হায়দার।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের আলী হায়দার কায়সার এর ছেলে। তিনি বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী রইস হায়দার। সংবাদ সম্মেলনে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি ব্যরিষ্টার রইস হায়দার বলেন, আমরা অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। আমাদের গ্রামের বাড়ী ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামে আমার পূর্বপুরুষের বিপুল পরিমান সহায়-সম্পত্তি ওয়াকফ ষ্ট্রেট হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। উক্ত ওয়াকফ ষ্ট্রেট অবৈধ ভাবে গ্রাস করার জন্য শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের পরসম্পত্তি লোভি সৈয়দ উম্মাতুল ইসলাম দুলু মিয়া ও তাহার পুত্র সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম যুবায়ের (৩৮) একের পর এক মামলা-মোকদ্দমা করে ব্যর্থ হয়ে। একপর্যায়ে সৈয়দ যুবায়ের ওয়াকফ সম্পত্তি জবর-দখলের লক্ষে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত ও মহামান্য হাইকোর্টে বহুবার মামলা দায়ের করলেও কোন বৈধতা না থাকায় তারা সকল আদালতেই পরাজিত হয়।
উক্ত ওয়াক্ফ সম্পত্তি বেআইনী ভোগ-দখলের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিগত ০৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখ, রোজ সোমবার, বিকাল ০৫:৩০টার দিকে সৈয়দ যুবায়ের একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ রাজপাশা গ্রামে আমাদের বসত গৃহের ঐতিহ্যবাহী কাচারী ঘরখানা অগ্নি সংযোগ করে সম্পূর্ন পুড়িয়ে দেয়। সন্ত্রাসী বাহিনী বসত গৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ও মালামাল ভাংচুর করে এবং স্টীলের আলমারী ভেঙ্গে ০৫ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ০৪ লক্ষ টাকা লুন্টন করে নিয়া যায়। এসময় আশেপাশের লোকজনসহ নিরপেক্ষ স্বাক্ষীরা স্বন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে তারা বিএনপির বরাত দিয়া সবাইকে জীবন নাশক হুমকি প্রদর্শন করিয়া ঘর হইতে চলিয়া যায়।
ঘটনায় আমি বাদী হইয়া ১৮/০৯/২০২৪ ইং তারিখে, ঝালকাঠি থানায় এজাহার দায়ের হয়। তদন্তকারী তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম যুবায়েরসহ আসামীদের বিরুদ্ধে, ১৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। এরপর থেকে সৈয়দ যুবায়ের আমাকেসহ মামলার স্বাক্ষীদের খুন-গুম করা, মিথ্যা মামলার আসামী করে জেলে দেয়াসহ নানবিধ হুমকি দিয়ে আসছে।
ঝালকাঠিতে সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম যুবায়েরের এহেন অন্যায়-অপকর্মে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাবমূর্তি ও সুনাম মারাক্তক ভাবে ক্ষুন্ন হলেও জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের সাথে পারিবারিক সুসম্পর্ক গড়ে তুলে সে তার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করে যাচ্ছে। এঅবস্থায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কোন ন্যায় সংগত বা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করায় তাহার দৃষ্টান্ত মূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত ২১/১১/২৪ইং তারিখ আমি বিএনপির মহাসচিব মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিচক্ষন নেতা, জনাব তারেক রহমান এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং আমার অভিযোগসহ তথ্য-প্রমান যাচাই পূর্বক রাজনৈতিক লেবাসের আড়ালে নানা অপকর্মে লিপ্ত সুবিধাবাদী সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম যুবায়েরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানাচ্ছি।