প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ১২:১৫ এএম
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে চলতি মৌসুমে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ ও কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেওয়ার কারণে ফলনে ভরপুর সুপারির বাগানগুলো।
বাজারে সুপারির দামও আশাতীত ভাল হওয়ায় কৃষকেরাও খুশি।সুপারী ব্যবসায়ীরা বলছে,টেকনাফ শামলাপুর বাজার, জাহাজপুরা বাজার, টেকনাফ বাজার, উখিয়া সদর,সোনাপাড়া বাজার, মরিচ্যা বাজার, কোর্টবাজার থেকে সুপারি দেশের বিভিন্ন আড়তে চালান হয়। ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে যেমন সুপারি বাগান মালিকেরা তাদের উৎপাদিত অর্থকারী ফসল সুপারি বাজারজাত করণের মাধ্যমে অনেক অস্বচ্ছল পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আসতে পারে বলে সুপারি ব্যবসায়ীদের অভিমত।
টেকনাফ উপজেলার পান-সুপারি উৎপাদনের অন্যতম ইউনিয়ন বাহারছড়া শামলাপুর বাজার ঘুরে সুপারি ব্যবসায়ীদের কথা বলে জানা গেছে, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার শামলাপুর বাজার বসে।এ বাজারে অর্থকারী ফসলের মধ্যে পান-সুপারি লেনদেন অন্যতম। শামলাপুর বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহর সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮০টির একপন সুপারি বেচা কেনা হচ্ছে সাড়ে ৩শ টাকায়।
সে আরো জানায়, প্রতি বাজারের দিন এ বাজার থেকে প্রায় ১৫ টন ওজনের ৫/৬ ট্রাক সুপারি দেশের বিভিন্ন আড়তে যায়। উখিয়ার মনখালীর চাষি মোক্তার আহমদ (৩৫) বলেন, এক কানি (৪০ শতক) জমিতে সৃজিত ৪৫৮টি গাছে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে সুপারি ধরেছে ৪০০ থেকে ৫০০টি। এবার সুপারির বাজারমূল্য বেশি থাকায় এই বাগান থেকেই প্রায় পাঁচ লাখ টাকার সুপারি বিক্রির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব বলে তার ধারণা।
কক্সবাজার জেলা কৃষি অফিসার জানান, কক্সবাজার জেলা থেকে যে পরিমাণ সুপারি উৎপাদন হয়,সেখান থেকে দেশের বাইরে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে যাচ্ছি। যে কোন চাষে কৃষকদের কারিগরী সহায়তার ও পরামর্শের জন্য আমাদের মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়োজিত আছেন। অনেক সচেতন সুপারি বাগান মালিক শুকনো মৌসুমে গাছে সার ও সেচ দিয়েছেন। এজন্য এবারে সর্বত্রই সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।