• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি: এ্যানি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি: এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যিনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি তো রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার সম্মানটা তো তিনি নিতে পারেননি। তিনি গণশত্রু ও জনশত্রুতে পরিণত হয়েছেন। কারণ তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান দিতে পারেননি। তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে সাজা দিয়েছেন। যার কারণে তিনি বাধ্য হয়ে এ দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়ে তিনি তার পিতাকে সম্মান দিতে পারেনি। দলকে সম্মান দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষকেও সম্মান দিতে পারেনি বলেই তিনি গণশত্রুতে পরিণত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) লক্ষ্মীপুর জেলার তৃতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ব্যানারে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এখন দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন আশা-আকাঙ্খা, নতুন ভবিষ্যৎ ও নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। নতুন বাংলাদেশের কারিগর হলেন এই শিক্ষক ও ছাত্ররা। আমরা সবাই নতুন বাংলাদেশ গঠনে উঠে পড়ে লেগেছি। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আন্দোলনে সংগ্রামে শহিদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

এ্যানি আরও বলেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা ও সংগ্রাম। যতদিন পর্যন্ত আমরা তা নিশ্চিত করতে পারবো না, ততদিন আমরা দুর্বল জাতি হিসেবে থাকবো। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বত্মক সহযোগিতা করছি। কোনোভাবেই এ সরকারকে ফেল করতে দেওয়া যাবে না। এ সরকার ফেল করলে আমার-আপনার বিপদ আছে। এ বিপদ থেকে বের হতে আমাদেরকে এক ও ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকার। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা।

বিএমজিটিএ লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ ও বিশেষ আলোচক ছিলেন মহাসচিব ফিরোজ আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ একেএম আব্দুল্লাহ ও ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম শামীম প্রমুখ।  

সম্মেলেন অতিথিদের কাছে বিএমজিটিএ নেতারা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল- মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা। শূন্যপদে ইনডেক্সধারী সকল শিক্ষকের বদলীর ব্যবস্থা চালু করা। সহকারী শিক্ষকদের দ্রুত অষ্টম গ্রেড বাস্তবায়ন করা। সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা। ১৬ বছরে সকল প্রভাষকদের সহকারি অধ্যাপকে পদোন্নতি এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া। ইএফটিরি মাধ্যমে বেতন প্রদান করা। মাদ্রাসার সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য স্তর এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী সরকারি নিয়ম গৃহঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। চাকরি শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। মাদ্রাসার প্রশাসনিক অন্তত একটি পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া।

 

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ