প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
ফরিদপুর সদর উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কিছু অংশ দখল করে ঘর তোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে। নির্মাণাধীন ওই ঘর দ্রুত অপসারণে ফরিদপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। আর জেলা বিএনপির সভাপতি বলছেন, বিএনপির কেউ ঘর তুলেছে তা আমার জানা নেই।
স্থানীয়রা জানায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদী বাসস্টান্ড এলাকায় দুটি সেতু রয়েছে। নতুন সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় পুরাতন সেতু দিয়ে সীমিত ও কম ওজনের পরিবহন এবং মানুষ চলাচল করে। যান চলাচল সীমিত থাকায় ওই সড়কের কিছু অংশ জুড়ে দু’একটি অস্থায়ী দোকান বসেছে।
স্থানীয়দের দাবি, গত শনিবার থেকে মাচ্চর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চুন্নু মোল্লার নেতৃত্বে বিএনপি ঘরানার ২০-২৫ জন মানুষ ওই পাকা (কার্পেটিং) মহাসড়কের ওপর ইটের মেঝে তৈরি করে কাঠ ও বাঁশের খুটি দিয়ে প্রায় দুইশ’ স্কয়ার ফুটের একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত পুরো ঘরের ফ্রেম তৈরি করা হলেও চাল ও ছাউনি দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল। এরই মধ্যে ঘটনাটি সংবাদকর্মী, রাজনীতিবীদ ও প্রশাসনের নজরে আনলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়।
এদিকে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নানা চাপের মুখে স্থাপনাটি অপসারণ করেন ওই নেতা।
ঘর নির্মাণকারী মাচ্চর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চুন্নু মোল্লা জানান, অনেকেই সীমিত চলাচলেও ওই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে দোকান তুলে ব্যবসা করছেন। আমরা সম্মিলিতভাবে একটি ক্লাব ঘর তৈরি করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু যেহেতু এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ঘরটি অপসারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় বিএনপির কর্মীদের নিয়ে ঘর তোলার চেষ্টা করা হলেও এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির কোনো নেতার সাথে কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।
অন্যান্য দোকান মালিক ও স্থানীয়রা জানান, ৩/৪দিন ধরে ওই ঘরটি তোলা হচ্ছিলো। ওই সড়কের পাশে আরও অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি দোকান ঘর অবৈধভাবে তুলে অনেকেই ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ দোকান তুলে ভাড়াও দিয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন সওজের জায়গাতেই গড়ে তুলেছেন পাকা অট্রালিকাও। স্থানীয়রা মনে করেন, শুধু চুন্ন মোল্লার স্থাপনা নয়, সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা এখন সময়ের দাবি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার জানান, বিষয়টি জানার সাথে সাথেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সওজের জায়গায় অবৈধভাবে দখলে রাখার সুযোগ নেই।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা জানান, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কোনো ধরনের অন্যায় কাজ করার সুযোগ নেই। চুন্নু মোল্লা নামে ওই এলাকায় বিএনপির কোনো নেতা আছে বলে আমার জানা নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা।