প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুন, গুম ও হত্যা মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নীলফামারী জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, একজন শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন মানুষ বলতো, ‘ও হাসিনা আমরা আর হাসি না’। তিনি মানুষকে উত্তেজিত করতেন এবং হাসানোরও চেষ্টা করতেন।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন ছিলেন তার উজির নাজিররাও তেমন ছিলেন। কে কত মিথ্যা বলতে পারে সেই প্রতিযোগিতা ছিল গত ১৫ বছরে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়গুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। বাড়িতেও থাকতে পারেনি নেতাকর্মীরা। বাড়িতে বসলেও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু জামায়াত নয়, বিরোধী মতের সবার ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। অন্যায়ের বিচার হতে হবে, না হলে অন্যায়কারীরা উৎসাহ পাবে, অপরাধ কমবে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। আর এটি শেখ হাসিনার নির্দেশেই করা হয়। গত ১৫ বছরে যত অন্যায় অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে, তা ছিল শেখ হাসিনার মদদেই।
ছাত্র-জনতার ত্যাগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, যেসব কারণে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে তা যেন পূরণ হয়। ছাত্র-জনতার দাবিগুলো সর্বাগ্রে পূরণ করা হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ের জন্য এ দেশের মানুষকে সংগ্রাম করতে হবে না। বিনা সংগ্রামে জনগণের দাবি পূরণ করা হবে।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের আইন হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত কোনো অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন।
কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।