প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সব দলকে ক্ষমতা দিয়ে দেখেছেন, আমাদের একবার দেশ চালানোর সুযোগ দিন।
সাবেক এই এমপি আরও বলেন, এই জামায়াতে ইসলামী দলের কোনো নেতাকর্মীরা জায়গা-জমি লুটপাট করেছে এমন নজির দেখাতে পারবেন না। এছাড়া তিনি লগি-বৈঠার তাণ্ডবের হুকুমদাতা হিসেবে স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন।
একটি অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, লাখ লাখ মানুষকে পঙ্গু করেছে, কোটি কোটি ডলার পাচার করে এই দেশ থেকে পালিয়েছে গেছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক লগি বৈঠার তাণ্ডব ও পল্টনে ৬ জনকে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা ঈদগাহ মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভাঙ্গা শাখার আয়োজনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে সরকারের পতন চেয়েছিলাম কিন্তু আল্লাহ এই ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার শুধু ক্ষমতা থেকে নামান নাই- তাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।
এই স্বৈরাচারী হাসিনা শাপলা চত্বরে হাজার হাজার আলেমকে হত্যা করেছে। প্রায় ১০০ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। তারা জামায়াতের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এর বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হতে হবে।
ডা. তাহের আরও বলেন, একদিনে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, ওসি, কিছু পুলিশ এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়- এমন রেকর্ড বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আর নেই।
এছাড়া ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন প্রসঙ্গে বলেন, সামনে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্নীতি ও জনগণের অর্থ লুটপাট করে মসজিদ বানিয়েছে।
এর আগে সমাবেশের পূর্বে দুপুর থেকেই চারদিক থেকে মিছিল এসে ঈদগাঁ মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জনসমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা বিশেষ পাহারা বসিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
গণ সমাবেশে মাওলানা মো. সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হযরত মাওলানা কামরুল ইসলাম আনসারী, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্যার ছেলে হাসান মওদুদ, ফরিদপুর জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা নুরুজ্জামান, প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, জামাত নেতা মোহাম্মদ মফিদুল ইসলাম মাসুদ, ডাক্তার এনায়েত হোসেন, লিটু খন্দকার, মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর জেলা শাখার আমীর মাওলানা মো. বদরুদ্দীনসহ স্থানীয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাসহ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।