• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, যুবক গ্রেফতার

পুলিশের হাতে গ্রেফতার সিয়াম।

পাবনা প্রতিনিধি

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সিয়াম আলী (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোরে পাবনার ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ খানমরিচ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সিয়াম উপজেলার হাটউধুনিয়া গ্রামের আল হেলালের ছেলে। তিনি ডেকোরেটরের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

গত ৬ অক্টোবর তার স্ত্রী পাবনার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাটি দায়ের করেন। পাবনার ৪নং আমলী আদালতের বিচারক বেবী নাজনীন বাদীর লিখিত আবেদন আমলে নিয়ে ভাঙ্গুড়া থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ জুলাই সিয়ামের সাথে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সিয়াম। বিষয়টি নিয়ে ওই নারী পাবনার আদালতে একটি মামলা করেন। বিপদ বুঝতে পেরে সিয়াম তার স্ত্রীকে সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেন। এরপর স্বাভাবিক আরচণ করে সংসার করতে থাকেন। এর মধ্যে কৌশলে নিজ স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। এরপরে আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন সিয়াম।

এক পর্যায়ে সিয়াম তার স্ত্রীর ভাইয়ের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তার বোনের ধারণকৃত নগ্ন ছবি পাঠিয়ে যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না দিলে ওই ছবি নেটে ভাইরাল করে দেয়ারও হুমকি দেন। বিষয়টি ওই গৃহবধূর পরিবার গুরুত্ব না দিলে সিয়াম তার স্ত্রীর নগ্ন ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি ফেইক আইডি খুলে তা ছড়িয়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী গত ৬ অক্টোবর পাবনার ৪ নং আমলী আদালতে যৌতুক, পর্নোগ্রাফি আইনে ও পারিবারিক আদালতে মোট তিনটি মামলা দায়ের করেন। পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় আদালত ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ’আদালতের নির্দেশনা অনুয়ায়ী মামলা নথিভুক্ত করে শনিবার ভোরে খানমরিচ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেফতার ও তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।’

আর্কাইভ