প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ১২:৫৩ এএম
বান্দরবানে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩২ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর ও সরকারি কৌঁসুলি ইকবাল করিম।
মঙ্গলবার দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
কিন্তু বেইল বন্ডে জামিনের শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে একই আদেশে তাদের অনুকূলে পূর্বে দেওয়া জামিন আদেশ বাতিল করা হয়।
বান্দরবানের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইকবাল করিম জানান, বিভিন্ন থানায় দায়ের করা ৪টি ফৌজদারি মামলার বিপরীতে মিস মামলা করে অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানিকালে সরকারপক্ষের আপত্তি সত্ত্বেও বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন আদেশে আসামিদের স্ব স্ব এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন দেওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়।
কিন্তু আসামিপক্ষ জামিন আদেশপ্রাপ্ত ৩২ আসামির সবার জন্য বান্দরবানের ইমান হোসেন (পিতা- মো. খলিল, সাং- থানা, বান্দরবান সদর) নামে এক ব্যক্তি জামিননামায় স্বাক্ষর করেন এবং অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী তা শনাক্ত করেন।
পিপি ইকবাল করিম জানান, বেইল বন্ডে জামিনের শর্ত পূরণ না হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন ইতোপূর্বে দেওয়া জামিন আদেশ বাতিল করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী জানান, গতকাল তারা বেইল বন্ড আদালতে পেশ করেছেন। এরপর তিনি আর কিছুই জানেন না।
বর্তমানে এসব আসামি কুমিল্লা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছেন। শুনানিকালে তাদের কাউকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
বান্দরবানের নব্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ এর ছত্রচ্ছায়ায় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র বিপুলসংখ্যক সদস্য বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার মধ্যবর্তী দুর্গম পাহাড়ে সামরিক ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার মধ্যবর্তী বিলাইছড়ি উপজেলা, বান্দরবান সদর, থানচি, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং সদর উপজেলার চিম্বুক এলাকা থেকে মোট ৩২ জঙ্গিকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানাসমূহে ৪টি মামলা করা হয়।