প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নামা ঢলের পানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। এতে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ভারতের ত্রিপুরা থেকে বাঁধ ভাঙা পানির কারণে আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ও কসবা উপজেলার ১টি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ১৫ মেট্রিকটন চাল ও ৫ লাখ নগদ অর্থ বরাদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
বন্যায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় অন্তত সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাওড়া বাঁধের একাধিক স্থানে ভেঙে নতুন নতুন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সবজি ক্ষেত, ফসলি রোপা জমি, পুকুরসহ এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মোগড়া ইউনিয়ন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ও দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, বাউতলা, ছয়ঘরিয়া, দরুইন, বচিয়ারা, নুনাসার, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়ণপুর, আদমপুর, আওরারচর, ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, রুটি, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা ও কর্নেল বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম বলেন, সাড়ে ১৬শ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬০০ হেক্টর রুপা আমন ধানের জমি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওড়া নদী ও জাজীর খালসহ বিভিন্নস্থানে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নতুন করে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে, বন্যায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয়, কাস্টমস ও বন্দর এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার এবং আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও বন্ধ রয়েছে।