প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দাড়িয়েছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায়। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। এখনো হাজারো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে এসব জায়গায়।
ভারি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানিতে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে পুরোপুরি বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্কও।
ভারি বৃষ্টিতে গত সোমবার দুপুর থেকে পানি বাড়তে শুরু করে মহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীতে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধের ভাঙা জায়গা স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে থেকে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়। একে একে তলিয়ে যেতে থাকে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ার এলাকা।
বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে গতকাল বুধবার দুপুর থেকে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বিকেলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে জানানো হয়, ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে স্পিডবোট ও হেলিকপ্টার। উদ্ধার করা হয়েছে চার হাজারের অধিক মানুষকে।
এদিকে, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।এতে কুমিল্লায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতী নদীর পানি বেড়ে কুমিল্লা শহর রক্ষা বাঁধে ছুঁই ছুঁই করছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে কুমিল্লা নগরী ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হবে। এ নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে মানুষের দিন কাটছে।
গোমতী জেলার জেলা শাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তার সরকারি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যাণ্ডেলে জানিয়েছেন যে, গোমতী নদীতে পানিস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের পানিস্তরও বিপৎসীমা ছুঁয়ে ফেলেছিল। বাঁধ বাঁচাতে গেট খুলে পানি ছেড়ে দিতে হয়েছে।
যে কারণে নীচু অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী মানুষজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতর বলেছে, পুরো ত্রিপুরা রাজ্যেই আগামী দু’দিন ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।