প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হওয়ায় বাবাকে কোপালেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটরচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটকচর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আমিনুল রহমান দুলালের ছেলে মো. আহাদ রহমান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী।
তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে আন্দোলন করে আসছেন। যা তিনি নিয়মিত তার ফেসবুক পেজে আপলোড করে আসছেন। এরই জেরে ঘটকচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল মাতুব্বরসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর মঙ্গলবার রাতে দুলাল মেম্বারকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন তারা।
এতে দুলাল মাতুব্বরের মাথা, দুই হাত ও পায়ে একাধিক স্থানে কোপানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. আহাদ রহমান বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম।
বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা তথ্য দিয়েছি। সে কারণে আমার বাবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা জয়নাল মাতুব্বর গং হুমকি-ধমকি দিয়েছে। আমি তাদের কথা শুনিনি, তাই আমার বাবাকে এভাবে কুপিয়ে জখম করল। আমি অপরাধীদের বিচার দাবি করি।’ তবে এ ঘটনায় জয়নাল মাতুব্বরের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া মাদারীপুর সদর থানা পুলিশকেও পাওয়া যাচ্ছে না। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম সালাউদ্দিনের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।