প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
হবিগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মোস্তাক আহমেদ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি সিলেটের টুকের বাজার এলাকার বাসিন্দা। পেশায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লাইনম্যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর ও আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার।
মোস্তাকের সঙ্গে কাজ করেন মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিল। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাসার গেইট ভাঙচুর এবং ১০টি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ দেওয়া হয়।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ এর অংশ হিসেবে জুমার পর হবিগঞ্জে শহরের কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওই সময় পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং বাসার সামনে থাকা ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ দেন তারা। পরে সেখানে পুলিশ পৌঁছলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সহস্রাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।