প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
তিন দিন ধীরগতিতে কমতে থাকার পর সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে জেলার নদীপারের চরাঞ্চল ও নিচু এলাকার মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্য ও গবাদিপশু নিয়ে মহাসংকটে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে বন্যাদুর্গতরা নিজেদের চেয়ে গবাদিপশুর খাদ্য সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলার দুটি পয়েন্টে আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে দুটি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ মৌসুমে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে জেলার ৪ হাজার ৬৩০ হেক্টর ফসলি জমি। এসব জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলার ৫ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৩৬২ পরিবারের ২৩ হাজার ৮৩৬ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের মাঝে ইতোমধ্যে ৬০টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও নতুন করে ৪৪০ টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুত রয়েছে