তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
জীবনে সফল হতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও দৃঢ় মনোবল। আর তা কাজে লাগিয়েই সফলতার মুখ দেখে মানুষ। এমনি এক ব্যক্তির নাম আব্দুর রউফ মিয়া। বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ গেট এলাকায়। পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। তবে একটি ছাগল পালন করে এখন সফল খামারি বনে গেছেন তিনি। কারণ, সেই একটি ছাগল থেকেই বর্তমানে তার খামারে ছাগল সংখ্যা ২০টি।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আব্দুর রউফ মিয়া একজন স্কুল শিক্ষক হলেও, নিজের জীবন কিংবা পরিবারকে সাজাতে নানাভাবে স্বপ্ন দেখেন। এমনি এক স্বপ্নের বাস্তবরূপ দিতে প্রায় ৪ বছর আগে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দামে একটি দেশীয় জাতের ছাগল ক্রয় করেন। এটি থেকেই খামার করার পরিকল্পনা করেন তিনি। ধারাবাহীকভাবে একটি ছাগল থেকে এখন ২০টি ছাগলের মালিক রউফ। এরই মধ্যে এই খামার থেকে লক্ষাধিক টাকা আয়ের উৎসও তৈরি হয়েছে তার।
ইতোমধ্যে ওই খামারের সাতটি ছাগল (খাসি) বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে ছাগলগুলো বিক্রি করবেন রউফ মিয়া। পূর্বের বাজার অনুয়ায়ী প্রতিটি খাসির দাম প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা। কিন্তু সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনে স্থানীয় পশুরহাটগুলো বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাবে ওই খাসিগুলো বিক্রিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তারপরও বিকল্প উপায় বিক্রির চেষ্টা চলছে।
খামার মালিক আব্দুর রউফ মিয়া সিটি নিউজ ঢাকা’কে বলেন, জীবনের সাফল্য অর্জনে সঠিক পরিকল্পনা থাকা দরকার। সুন্দর একটি পরিকল্পনা মানুষের জীবনকে আলোকিত করতে পারে। সেই পরিকল্পনায় একটি বকরির প্রজন্ম থেকে এখনি আমি খামারি। তবে লকডাউনের কবলে সাতটি ছাগল বিক্রিতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রশিক্ষণ ছাড়াই ওই ছাগলগুলো লালনপালন করছি। খাদ্য হিসেবে দৈনিক গম, ভুট্টা, গমের ভুসি ও চালের কুঁড়া ইত্যাদি দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের সহযোগিতা পেলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব।
সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক বলেন, ছাগলের খামার অনেকটাই লাভজনক ব্যবসা। অল্প পুঁজিতে অধিক টাকা আয় করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে অনলাইন ব্যবস্থাপনায় আব্দুর রউফ মিয়ার ছাগলগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে।
টিআর/নির্জন
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন