প্রকাশিত: মে ১, ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
কুমিল্লায় আলোচিত স্কুলছাত্রী তাফরিন সুলতানা ঝুমুরকে ধর্ষণের পর হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা।
ধর্ষক মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে (৩৮) গ্রেফতারের পর বুধবার (১ মে) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
জানা যায়, সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামে ফসলি জমি থেকে নয় বছর বয়সী ঝুমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতন কিন্ডারগার্টেন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং খিলপাড়া গ্রামের প্রবাসী জাকির হোসেনের মেয়ে। পুলিশ জানায়, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ঝুমুরের মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি জানার পর গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুরের ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক মফিজুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি শিশুটির প্রতিবেশী।
এসব বিষয়ে নিয়ে বুধবার (১ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় ঝুমুরের ওপর ঘটে যাওয়া লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ধর্ষণসহ হত্যার কথা স্বীকার করে মফিজুল জানান, সোমবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে স্কুলছাত্রী তাফরিন সুলতানা ঝুমুরের আসার অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে ঝুমুর বাসায় ফেরার পথে কৌশলে রাস্তার পাশের ধানী জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় সে চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফিজুল তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। এতে ঝুমুর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে ঝুমুরের কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে মফিজুল দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
