প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত দুই যুবক ও ধর্ষণে সহয়তাকারী এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকালে নাগেশ্বরী পৌরসভায়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ওই তরুণী মায়ের সঙ্গে অভিমান করে খালার বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে পূর্ব পরিচিত নাগেশ্বরী পৌরসভার মালভাঙ্গা গ্রামের মৃত নুরুন্নবী মিয়ার ছেলে খোকা মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। খোকা তাকে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার প্রতিবেশী মৃত আইনুল্লার ছেলে মূসা মিয়াকে ডেকে আনে। পরে মূসার মোটরসাইকেলে ওই তরুণীকে তুলে তারা সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে ওই তরুণীকে দুজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আভিযোগ রয়েছে শাহ আলম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম নিজ বাড়িতে বহুদিন থেকে মেয়ে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দিয়ে দুইজনই চলে যায়। পরে শাহ আলম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম ওই তরুণীকে একটি ঘরে তালা দিয়ে বন্দি করে রাখে।
পরে অনেক খোঁজাখুজির পর ওই তরুণীর বাবা লোকজনের সহায়তায় শাহ আলমের বাড়ি থেকে রাত ৮টার দিকে মেয়েকে উদ্ধার করে। ওই রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা নাগেশ্বরী থানায় খোকা, মূসা, শাহ আলম ও তার স্ত্রী খুশি বেগমের নামে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত খোকা ও মূসাসহ ধর্ষণে সহায়তা করায় খুশি বেগমকে গ্রেফতার করে। তবে শাহ আলম পলাতক রয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ে সহজ সরল, হাবাগোবা প্রকৃতির। খোকা ও মূসা আমার মেয়ের সম্পর্কে চাচা হয়। তাই ওদের মোটরসাইকেলে উঠেছে। তারা দুজন মেয়েটাকে নিয়ে নির্যাতন করেছে আবার ওখানেই বিক্রি করে দিয়েছে। আমার মেয়ের সামনেই অন্য ছেলেদের কাছ থেকে শাহ আলমের বউ ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। মেয়ে সব কিছুই আমাকে জানিয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
নাগেশ্বরী থানার ওসি (তদন্ত) সারোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।