• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

১২ মামলার আসামিকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৮:০৪ এএম

১২ মামলার আসামিকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ১২ মামলার আসামি জুম্মান সরাদর (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে যশোর শহরের শংকরপুর রেলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তিনি শংকরপুর এলাকার মুরাদ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় ছিলেন ইজিবাইক ব্যবসায়ী। তার বিবরুদ্ধে অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় জুম্মান ব্যক্তিগত কাজে রেলস্টেশন এলাকায় যান। এ সময় একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে তাড়া করে রেলবাজারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রকাশ্য কয়েকজন দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় জুম্মান অচেতন হয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মোহম্মদ আল হাসান  জানান, তার পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ভাই মামুন হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের শংকরপুর রেলস্টেশন এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির অফিসের সামনে দুর্বুত্তরা জুম্মানকে ছরিকাঘাতে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে।

নিহতের আরেক স্বজন জাহাঙ্গীর বলেন, যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠুর ব্যক্তিগত অফিসের সিসি ক্যামেরায় সব পাওয়া যাবে কারা জুম্মানকে মেরেছে। ওই অফিসের সামনে দিয়ে জুম্মান দৌঁড়ে পালাচ্ছিল। জুম্মানের সাথে অনেকের ঝামেলা ছিল। কারা যে কি কারনে মেরেছে বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহত জুম্মানের বিরুদ্ধে থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। জুম্মান বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ