প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চুরি করতে নয়, গৃহবধূকে ও তার মেয়েকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকেন আসামিরা। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তারা চুরি করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ তথ্য জানান বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে করেন ।
জানা যায়, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মেহেরাজ (৪৮) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষ দল। মঙ্গলবার রাতে তাকে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মামলার প্রধান আসামি চরকাজী মোখলেছ গ্রামের আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে (৬৭) জেলা শহর মাইজদি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সাবেক মেম্বার ও চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। দুই আসামিকে মুখোমুখি করলে তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সিঁধ কাটায় ব্যবহৃত একটি কোদাল ও দা এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত প্রধান আসামির মানকি টুপি ও প্যান্ট জব্দ করা হয়। আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে এবং রিমান্ডের আবেদন করে আজ আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মামলার আরেক আসামি হারুন প্রকাশ ‘গরু হারুন’ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে একাধিক দল মাঠে নামিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের ওই ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে ঘরের সিঁধ কেটে চুরি করতে ডুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনজনের ওই চোর দলের দুইজন ওই গৃহবধূকে (২৯) গণধর্ষণ ও একজন তার মেয়েকে (১২) ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের ঘর থেকে একজোড়া করে কানের দুল, নাক ফুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী তিন সন্তানের জননী ও নির্যাতিত শিশু স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।