প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২১, ১০:০৬ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে
না থেকে রোগী দেখছেন
মো. সফিউল্লাহ আরাফাত নামের এক চিকিৎসক। জেলার
জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দায়িত্ব পালনের পর তার বাধ্যতামূলক
কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার
(৮ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর
পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বসে রোগী দেখেছেন
তিনি।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, জেলার
জেনারেল হাসপাতালের নিচতলায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন
ইউনিট করা হয়েছে। সেখানে
২০ জনের বেশি করোনা
আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চিকিৎসক মো. সফিউল্লাহ গত
৪ ও ৫ জুলাই
আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। ওই
ইউনিটে ভর্তিকৃত করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেন তিনি।
নিয়ম
অনুযায়ী আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের পর থেকে বাধ্যতামূলকভাবে
১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে
হয়। কিন্তু এ চিকিৎসক কোয়ারেন্টিনে
না থেকে জরুরি বিভাগে
বসে রোগী দেখছেন।
জানতে
চাইলে চিকিৎসক মো. সফিউল্লাহ আরাফাত
বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক স্যার আমাকে আপাতত অফ রেখেছেন। আমি
অফ আছি।'
এ
বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান
বলেন, 'আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের তিন-চারদিন পর
নমুনা পরীক্ষা করে যদি নেগেটিভ
আসে তাহলে আমরা তাকে কাজের
অনুমতি দেব। কারণ আমাদের
জনবল সংকট থাকে। আমি
আরাফাতকে ডেকে এনে বলেছি
তিনদিন পর নমুনা পরীক্ষা
করে তারপর যেন কাজে আসে।
তাকে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলেছি।'
জেলা
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম
উল্লাহ জানান, 'আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের পর দুই সপ্তাহ
কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। কারণ যদি
তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে
তার মাধ্যমে যেন সংক্রমণ ছড়াতে
না পারে।'
সম্রাট/নির্জন