প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ০৯:১৭ এএম
যশোরে বিচারককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ায় নব কুমার কুন্ডু নামে এক আইনজীবীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- যশোর শহরের পুরাতন কসবার ভাড়াটিয়া অ্যাডভোকেট নব কুমার কুন্ডু (৫৫), তার মহুরি পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার রবিউল ইসলাম (৪২) ও কম্পিউটার অপারেটর শহরের ষষ্টিতলা এলাকার মিহির কুমার সাহা।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৮ জানুয়ারি তিনি ডাকযোগে একটি চিঠি পান। বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির জনৈক নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে, ৩০ জানুয়ারি ক্রিমিনাল মিস ২৯/২৪ নং মামলার ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও সব আসামিকে জামিন দিবেন। অন্যথায় আপনার জীবন শেষ করে দেওয়া হবে এবং আপনারও ওই অবস্থা করা হবে।’
বিচারক বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর চিঠি পোস্ট করা যশোর পোস্ট অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বুধবার গভীর রাতে কাজীপাড়া থেকে মহুরি রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়।
তার দেওয়া তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের সিভিল কোর্ট মোড় এলাকা থেকে কম্পিউটার অপারেটর মিহির সাহাকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে পরবর্তীতে অ্যাডভোকেট নব কুমার কুন্ডুকে আটক করা হয়। তারা বিচারককে চিঠিতে হুমকি প্রদর্শনের বিষয়টি স্বীকার করে তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আটককৃতদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম শাহীন জানান, বিচারককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আইনজীবী গ্রেফতারের বিষযটি শুনেছেন। অভিযোগ সত্য হলে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।