প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ১০:৫১ এএম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে প্রকাশ্যে দিবালোকে এক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পিটুনিতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর নজরুল ইসলামকে আড়াই হাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ নিহত নজরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত নজরুল ইসলাম নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত সফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার বিকালে ব্যবসায়িক কাজে রূপগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হন। পথে জামপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য তিনি অটোরিকশায় উঠে বসেন। অটোরিকশাটিতে দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না উঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ায় অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও ওই অটোরিকশার চালকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির ও দাইয়ানের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নজরুল ইসলামকে তারা বেদম প্রহার করতে থাকে। এ সময় জাকির ও দাইয়ানের সঙ্গে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের অন্যান্য কয়েকজন অটোচালকরাও কিল-ঘুসি দিয়ে মারধর করতে থাকে।
এ সময় বেদম পিটুনিতে নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নজরুল ইসলামের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবারক হোসেন বলেন, নজরুল ইসলাম ধন্ধি বাজারে রড ও স্টিলের ব্যবসা করতেন। তিনি রাজনীতি করলেও নিরীহ প্রকৃতির লোক ছিলেন। তার এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।